রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
সিরাজগঞ্জে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ ব্যবহার করে সরকারি চাকরি নিয়েছেন এমন আরও তিন শতাধিক প্রতারককে খুঁজছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত সোমবার এ জেলা থেকে ভুয়া সনদ ব্যবহারের অপরাধে ১৯ পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করে দুদক। সিরাজগঞ্জ-পাবনা আঞ্চলিক দুদক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ বাহিনী ছাড়াও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া ও জাল সনদ দিয়ে চাকরি নিয়েছেন ৩০০ জনের বেশি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। শিগগির এসব প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হবে। জানা যায়, ২০১২ সালে পুলিশ বাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য কোটায় সিরাজগঞ্জসহ সারা দেশে দুই দফায় ৩ হাজার ২৮৫ জন কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে সিরাজগঞ্জের ১৯ জনসহ মোট ৪৩ জন ভুয়া ও জাল সনদ দিয়ে চাকরি নেন। সিরাজগঞ্জের ওই ১৯ প্রতারককে গ্রেপ্তারের আগে মামলার নথিপত্র, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পোষ্য কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষানবিশ কনস্টেবলদের পিতার মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই প্রতিবেদন হাতে পায় দুদক। এরপর তারাই ওই ১৯ প্রতারককে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়াও বাগেরহাট, জামালপুর, নরসিংদী, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, খুলনা, জয়পুরহাট, পাবনা, সুনামগঞ্জ, গাইবান্ধা, চাঁদপুর ও টাঙ্গাইল জেলার ২৪ যুবক একই ধরনের প্রতারণা করে পুলিশ বাহিনীতে চাকরি নিয়েছে বলে সূত্রটি জানায়। সিরাজগঞ্জ-পাবনা আঞ্চলিক দুদক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, এ জেলায় ১৯ জন ছাড়াও তিন শতাধিক ব্যক্তি ভুয়া ও জাল সনদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নিয়েছেন। আমাদের কাছে এমন তথ্য আছে। তিনি ওই প্রতারকদের গ্রেপ্তারে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন। সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী বলেন, সিরাজগঞ্জ ছাড়াও বেশ কয়েকটি জেলায় ভুয়া ও জাল সনদ দিয়ে কয়েকজন পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি নিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রায় আড়াই বছর আগে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা হয়। পুলিশের তদন্তে ভুয়া ও জাল সনদ প্রদানকারী হিসেবে উঠে আসে মুক্তিযুদ্ধকালে বেলকুচির উপজেলা কমান্ডার সোনালী ব্যাংকের সাবেক সিবিএ নেতা শহিদুর রেজার নাম। পরবর্তীকালে দুদক কর্মকর্তাদের কাছে উপকারভোগী ও ভুক্তভোগী পুলিশ কনস্টেবলের স্বজনরাও কমান্ডার রেজার নাম উল্লেখ করেন। কিন্তু দুদকের তদন্তে তাকে সন্দেহভাজন আসামি করা হয়নি। এতে জনমনে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। একই অভিযোগ করেন বেলকুচি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, রেজাকে কেন দুদক ধরছে না, তা আমাদের বোধগম্য নয়। এ অভিযোগ প্রসঙ্গে দুদক কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, গণমাধ্যমে শহিদুর রেজার সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি হলেই তাকে গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়া যাবে।জানা গেছে, ১৯ পুলিশ কনস্টেবল গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই কমান্ডার রেজা পলাতক। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ঢাকায় তার ছেলে ডা. মাহমুদুল হক শুভর বাসায় আছেন। #CN

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুরে দুস্থের মাঝে নগদ অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ

শাহজাদপুর

শাহজাদপুরে দুস্থের মাঝে নগদ অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুল ইসলাম মন্ডলের নিজস্ব অর্থায়নে দুস্থ ও হতদ...

শাহজাদপুরের হাবিবুল্লাহনগর ইউপিতে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ

শাহজাদপুর

শাহজাদপুরের হাবিবুল্লাহনগর ইউপিতে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার ৭নং হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দুঃস্থ ও অসহায় ম...

এখনই বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে: প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয়

এখনই বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে: প্রধান উপদেষ্টা

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কাছ থেকে প্রাপ্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনই বাস্তবায়ন...

শাহজাদপুরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

শাহজাদপুর

শাহজাদপুরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের সামাজিক ও মানবিক সংগঠন...

যমুনার পানি বিপদসীমার ৭৩ সে.মি. উপরে, বিপাকে বানভাসিরা

সিরাজগঞ্জ জেলার সংবাদ

যমুনার পানি বিপদসীমার ৭৩ সে.মি. উপরে, বিপাকে বানভাসিরা

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও তিস্তা...

পানিতে ৫’শ একর জমির পাঁকা ধানে পড়েছে মই: কৃষকের হা-হুঁতাশ বাড়ছে

বন্যা

পানিতে ৫’শ একর জমির পাঁকা ধানে পড়েছে মই: কৃষকের হা-হুঁতাশ বাড়ছে

শামছুর রহমান শিশির, শাহজাদপুর থেকে : উজানের ডল আর বর্ষনে সৃষ্ট বন্যার পানিতে শাহজাদপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন স্থা...