শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
21 শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম :- হাঠাৎ করেই একটি পত্রিকার প্রকাশিত অনলাইনে শিলাবৃষ্টির একটি খবরের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ হলো। ছবিতে শিলের বৃহদ আকার ও তার ওজন দেখে অনেকটাই চমকিত হতে হয়েছে ইতোমধ্যে।জন্মের ৬৩ বছর অতিক্রান্ত করেছি, অনেক সময় নানা কারনে শিলাবৃষ্টিতে পড়তে হয়েছে। শিলাবৃষ্টির মাঝে আমও কুড়িযেছি। কিন্তু কখনো এত বৃহদ আকারের শিলাবৃষ্টি কথা এখনও স্বরণ করতে পারছি না।হয়তো পৃথিবীর কোথাও কোথাও এমনকি বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে দৈবাদ এ ধরনের শিলাবৃষ্টি হতে পারে তবে আমার জানা নেই। এটাই আমার আছে অনেকটাই প্রশ্নবোধক।এখন যখনই আকাশে কালেমেঘ জমে তখনই ভয় হয় অশুভ কিছু ঘটছে কিনা।শিলাবৃষ্টির সাথে সাথে ব্রজ্রপাতও যেন একটা ভয়ঙ্কর রূপ নিছেয়ে।বজ্রপাতে প্রতিনিয়ত মানুষের মৃত্যু ঘটছে।খবরের পাতা খুললেই সেটি চোখে পড়ছে। যখন বজ্রপাত ঘটছে মনে হছে আকাশটা যেন অনেকটাই কাছে নেমে এসেছে। বজ্রপাতটাও যেন খুব কাছ থেকে ঘটছে। ভয়ঙ্কর শব্দের ঐ বজ্রপাতগুলো যেন প্রতিমূহুর্তে মৃত্যুর সংকেত দিচ্ছে।। বিজ্ঞান আমাদের জ্ঞানগর্ভকে আনেকটাই বিকশিত করেছে।মানবিক কল্যাণে বিজ্ঞানের যৌক্তিক ব্যাখ্য আক্ষরিক জ্ঞান মানবসভ্যতাকে অনেকদূর নিয়ে এসেছে।তবে একদিকে বিজ্ঞানের জ্ঞানগর্ভের প্রায়গিক সততা পৃথিবীর মানব সভ্যতাকে যতটুকু এগিয়ে নিয়ে এসেছে পাশাপাশি বিজ্ঞানের জ্ঞানগর্ভের প্রায়গিক শঠতা মানব সভ্যতাকে রক্ষার ক্ষেত্রে তার চেয়ে অনেকগুন পিছনে ঠেলে দিয়েছে।আধুনিক বিশ্বের শিল্পবর্য্য, মানবসৃষ্ট বর্য্য, বিভিন্ন জ্বালাণি ব্যবহৃত সৃষ্ট কার্বণ প্রতিনিয়ত আমাদের জ্বলবায়ুকে দূষণ করে চলেছে মাত্রাহীন ভাবে।শুধু লাভের অঙ্ক গুনতে গুনতে মানব সভ্যতা ক্রমন্বয়ে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলেছে। এ ধরনের শিলাবৃষ্টি আমাদেরকে অশণি সংকেত দিয়ে বারবার সে কথাটাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। 3 খবরে জানাযায়, গত ৫ এপ্রিল রোববার রাতে ঝড় এবং শিলা পড়ে হাজার হাজার একর জমির ফসলাদি নষ্ট হয়েছে এবং ,ঘরবাড়ি,গাছপালা ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার বেশকয়েকটি গ্রাম। রোববার রাত ৩টার দিকে এই কাল বৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এক ঘন্টার বেশি স্থায়ী এ ঝড় এবং বৃষ্টি শেষে মেঘের ভয়াবহ গর্জনের সাথে শিলা পড়তে থাকে। তবে সেখানে যে শিলাগুলো পড়ে সচরাচর আমরা যেসব শিলা দেখি তা থেকে আকারে বেশ বড়। একেকটির ওজন কমপক্ষে তিন কেজি। সকাল ৮টা পর্যন্ত এলাকার সর্বত্র শিলা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সদর উপজেলার উজানগ্রাম, আব্দালপুর, আলামপুর, আইলচারা ও ঝাউদিয়া উনিয়নের ৩ টির বেশি গ্রাম, মিরপুর উপজেলার হালসা, আমবাড়িয়া, কুর্শা, ছাতিয়ান এবং কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ও পান্টি ইউনিয়ন এলাকার অধিকাংশ গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যায় এই কাল বৈশাখী। ঘন্টাব্যাপী এই কালবৈশাখী ঝড় ও ভারী শিলাবৃষ্টি হয়। এতে হাজার হাজার বাড়ী ঘর, গাছপালা ও মাঠের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকায় বিদ্যুৎতের খুটি উপড়ে পড়াসহ তার ছিড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ কালাজ্বর নির্মুলের উদ্দেশ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

স্বাস্থ্য

শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ কালাজ্বর নির্মুলের উদ্দেশ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

শাহজাদপুর প্রতিনিধি : ‘এক দিনের চিকিৎসায় কালাজ্বর সেরে যায় ’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে গতকাল রোববার বাংলাদেশ সরকার...

ঈদে ৮ দিন শিথিল, পরে কঠোর বিধিনিষেধ

বাংলাদেশ

ঈদে ৮ দিন শিথিল, পরে কঠোর বিধিনিষেধ

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ ১৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হবে। তবে ২৩ জুলাই থেকে...

শাহজাদপুর উপজেলা বস্ত্র মালিক ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠন

অর্থ-বাণিজ্য

শাহজাদপুর উপজেলা বস্ত্র মালিক ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠন

শামছুর রহমান শিশির: শাহজাদপুর উপজেলা বস্ত্র মালিক ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ...

শাহজাদপুরে বিয়ের দাবীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে দুই সন্তানের জননীর আমরণ অনশন

শাহজাদপুরে বিয়ের দাবীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে দুই সন্তানের জননীর আমরণ অনশন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গত দুইদিন ধরে শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের পারকোলা গ্রামের শের আলীর কন্...

কোরবানীর গরু পুশে শাহজাদপুরে গরুর মালিকেরা লোকসানের আশংকায় দিশেহারা