বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের কোনো আইনজীবীকে হাতকড়া পড়ানোর ব্যাপারে কোন কোন ক্ষেত্রে নিয়ম মানছে না পুলিশ । বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্ট বারসহ অন্যান্য যে কোন বারের যে কোন আইনজীবিকে গুরুতর অপরাধ ব্যতীত অন্য যে কোন কারনে গ্রেপ্তার করার সময়ে হাত কড়া না পরানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক রেজুলেশন করার ব্যাপারে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, মাননীয় ভাইস-চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে কথা বলেছেন। হাতকড়া পরানোর বিষয়টি নিয়ে সারাদেশের বিজ্ঞ আইনজীবীগনসহ বিভিন্ন মহল পূর্ব থেকেই সমালোচনা করে আসছেন।পুলিশের পিআরবিতে (পুলিশ প্রবিধান) আইনে ব্যক্তির অবস্থা ও পরিস্থিতি অনুযায়ী এটি পড়ানোর নিয়ম থাকলেও তা তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। অনেক সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া অসুস্থ আসামি, কিশোর, নারী ও বৃদ্ধদের হাতকড়া পরিয়ে আদালতে ও কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে , দেশের সম্মানির ব্যক্তিদের মধ্যে আইনজীবীদের অবস্থান সবার উপরে সেক্ষেত্রে বিশেষ কোন ক্ষেত্র অথবা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র ব্যাতিত সুপ্রীম কোর্ট বারসহ অন্যান্য যে কোন বারের যে কোন আইনজীবিকে গুরুতর অপরাধ ব্যতীত অন্য যে কোন কারনে গ্রেপ্তার করার সময়ে হাত কড়া না পরানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক রেজুলেশন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। পুলিশের হাতকড়া পড়ানোর নিয়ম না মানার বিষয়টিকে সংবিধান লঙ্ঘন হচ্ছে বলে আখ্যায়িত করেছেন মানবাধিকার কমিশন। এ বিষয়টির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘যাকে তাকে হাতকড়া পরানো সভ্য দেশের আলামত নয়। এটি পরানোর নিয়ম আছে বটে। কিন্তু, এটি পুলিশের মানার প্রবণতায় ঘাটতি রয়েছে। যা ইতিমধ্যে কয়েকটি ঘটনায় লক্ষ্য করা গেছে। তিনি আরও বলেন, ‘অপরাধী যেই হোক না পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে। এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন নেই। কিন্তু সেটি নিয়ম মেনে করতে হবে। হাতকড়ার ব্যবহার নিয়ে আইন আছে পুলিশ প্রবিধান বা পিআরবিতে। ওই বিধির ৩৩০ ধারায় বলা হয়েছে,‘বিচারাধীন বন্দিকে তাহাদের পলায়ন বন্ধ করিবার জন্য যাহা প্রয়োজন তাহার চাইতে বেশি কড়াকড়ি করা উচিত নহে। হাতকড়া বা দড়ির ব্যবহার প্রায় ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয় এবং অমর্যাদাকর। বয়স, সম্মান ও পেশা বিবেচনা করতে হবে। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন ইতি পূর্বেই বলেছেন, ‘নিয়ম ভঙ্গ করে যাকে তাকে হাতকড়া পরানো হচ্ছে। এতে ব্যক্তির ভাব মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ থেকে উত্তরণের পথ হিসাবে তিনি কর্তৃপক্ষকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে বলেন। সাম্প্রতিক সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতিকে হাত কড়া পড়ানোর ব্যাপারে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করেন। সূত্রঃ বিডি ল’ নিউজ ডট কম

সম্পর্কিত সংবাদ

নৌকায় ভোট দিলে এলাকার, দেশের উন্নয়ন হয়' - শেখ আব্দুল হামিদ লাবলু

রাজনীতি

নৌকায় ভোট দিলে এলাকার, দেশের উন্নয়ন হয়' - শেখ আব্দুল হামিদ লাবলু

শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম, বিশেষ প্রতিবেদক, শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাহজা...

শাহজাদপুর ১০নং কৈজুরী ইউনিয়নে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা

শাহজাদপুর

শাহজাদপুর ১০নং কৈজুরী ইউনিয়নে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা

শাহজাদপুর উপজেলার ১০নং কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদে ২০২১-২২ ইং অর্থ বছরের উন্মুক্ত খসড়া বাজেট ঘোষনা করা হয়েছে। শাহজাদপুর উপজেলা...

বাংলাদেশ আমাদের, লুটেরা পাঁচারকারীদের নয়

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ আমাদের, লুটেরা পাঁচারকারীদের নয়

এর মর্মার্থ হলো এই- তিনি তাদেরকে বোঝাতে চেয়েছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের পাট বিদেশের কাছে বেঁচে, সেই টাকা দিয়ে পশ্চিম পাকিস্ত...

শাহজাদপুরে সাংবাদিকদের সাথে এবি পার্টির মতবিনিময়

রাজনীতি

শাহজাদপুরে সাংবাদিকদের সাথে এবি পার্টির মতবিনিময়

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি)’র দলের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা জনগণের মাঝে তুলে ধরার লক্ষ্যে শা...

শাহজাদপুরে নরিনা খেলার মাঠে বছর জুড়ে জলাবদ্ধতা

শাহজাদপুর

শাহজাদপুরে নরিনা খেলার মাঠে বছর জুড়ে জলাবদ্ধতা

মাটি ভরাট ও সংস্কারের কারনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার ঐতিহাসিক নরিনা ইউনিয়নের হাই স্কুল মাঠটি বছরের বেশির ভাগ সময় বৃ...

শাহজাদপুরে সরকারি গাছ বিক্রি করে ঋণের দায় শোধ স্কুল দপ্তরির!

অপরাধ

শাহজাদপুরে সরকারি গাছ বিক্রি করে ঋণের দায় শোধ স্কুল দপ্তরির!

শাহজাদপুরে ঋণের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে পাওয়ানাদারকে সরকারি ক্যানেলের ৫০টি সরকারি গাছ বিক্রি করে টাকা নিতে বলেছেন