শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

পায়ের নখের কুনির সমস্যা অনেকেরই হয়ে থাকে । নখ কাটতে গিয়ে বা কোনো না কোনোভাবে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এই ক্ষতস্থানে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে নখকুনি সৃষ্টি হয়। এটি একটি খুব সাধারণ সমস্যা যা পায়ের নখের অভ্যন্তরে বৃদ্ধি পায়।  পায়ের নখের কোণে বা প্রান্তটি নরম মাংসের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে এটি প্রচণ্ড অস্বস্তি এবং বেদনা সৃষ্টি করে।

শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মধ্যে নখ  একটি। ‘সৌন্দর্য পরিচর্যার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল নখ’। বিশেষ করে মেয়েরা প্রত্যেকেই কমবেশি তাদের নখ  নিয়ে সচেতন থাকে। নখ নিয়ে নানা ধরণের আর্টও এখন ফ্যাশনের বিভিন্ন জিনিষ ব্যবহার করে। নেলআর্টে মজেছে এখন মেয়েরা অনকেই। আর এই ধরণের কৃত্রিম আর্ট থেকে হতে পারে নখের নানান সমস্যা । এছাড়া নখ পরিচর্যা ঠিকমতো না হলে সেখান থেকে নানা রোগের সৃষ্টি হয়। যেমন নখ নিয়ে অতি পরিচিত একটি রোগ হল নখকুনি।  বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। অনেকক্ষণ ধরে জল ঘাটলে এই রোগের প্রবণতা অনেক বেশি দেখা যায়। এছাড়া ধুলো, মাটি, ‘ঘামের কারণেও এই রোগ হয়’। এই ‘নখকুনি’ এক ধরণের ছত্রাকে’র জন্য তৈরি যার নাম ক্যানডিডা অ্যালবিক্যানস বলে।

যে লোকেরা সারাক্ষণ পানিতে ভিভজে পরিশ্রম করে তারা এই রোগের ঝুঁকিতে বেশি থাকে, বিশেষ করে কাদা নখের ভিরতে ঠুকে এটা হয়ে থাকে।

 এছাড়া যারা নিয়মিত নখ পরিস্কার করে না তারাও কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত হন। যেমন নখকুনি হওয়ার আগেই আপনি বুঝতে পারবেন যে এই রোগটি হতে চলেছে। প্রথমত, নখের গায়ে লেগে থাকা ত্বক ফুলে ওঠে, যা থেকে খুব ব্যথা হয়। অনেকের সেখান থেকে ইনফেকশনও হয়ে গিয়ে ফোলা অংশটি লাল হয়ে যায়। এছাড়া তা থেকে পুঁজ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।

‘সচরাচর নখকুনি/কানি পায়ের আঙ্গুলেই’ হয়ে থাকে। আবার অনকেরে ‘হাতের আঙ্গুলে দেখা যায় যেতে পারে তবে তা খুবই কম দেখা যায়’। নখকুনি হওয়ার কারণ  বেশি চিপা চাপা জুতা পরলে, নখ সময় মত না কাটলে বা কন্যারের দিকে বেশি কেতে ফেললে, হোচট খেয়ে অঙ্গুলে ব্যথা পেলে এবং অস্বাভাবিক বাকা টেরা নখ থাকলে। 

এছাড়াও আপনার যদি ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে তবে পায়ে রক্ত সঞ্চালন হ্রাস পায়, যা পায়ের নখের এই সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।

পায়ের নখে খুব বেশি ব্যথা হওয়া, লাল হওয়া এবং ফুলে যাওয়ার মত উপসর্গগুলো দেখা যায় নখকুনি হলে। যদি এর চিকিৎসা করা না হয় তাহলে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। ইনফেকশন হলে নখের চারপাশ লাল হয়ে ফুলে যায়, পুঁজ ও রক্ত বাহির হয়। যদি শুরুতেই বুঝতে পারা যায় তাহলে ঘরেই এর যত্ন নেয়া যায়। যদি ইনফেকশন হয়ে যায় তাহলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিৎ।

নখকুনির ঘরোয়া প্রতিকারগুলো জেনে নেই আসুন।

উষ্ণ পানিতে ভিজানো :- কিছুক্ষণ গরম পানিতে পা ডুবিয়ে নখের ব্যথা এবং ফোলাভাব কমানো যায়। এ জন্য একটি ছোট পাত্রে হালকা গরম পানি নিন। এই  পানিতে ১৫-২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন । দিনে ৩-৪ বার এটি করতে পারেন।

নখের নীচে গজ দিয়ে রাখুন:- গরম পানিতে পা ডুবানোর পরে, আক্রান্ত আঙ্গুলের নখের নীচে একটি তুলো বা গজ বা সুতির নরম কাপড়  দিলে নখটি আসতে আসতে উপরের দিকে উঠে আসবে। হালকা গরম পানিতে কিছুক্ষণ পা ভিজিয়ে রাখার পরে ভালো করে পা মুছে নিন। তারপর ভোঁতা চিমটা দিয়ে আক্রান্ত নখটি সাবধানে উপরে উঠান এবং ত্বক ও নখের মাঝখানে সুতির কাপড়ের টুকরাটি ঢুকিয়ে দিন। ইনফেকশন প্রতিরোধের জন্য পা প্রতিবার  ভিজার পরে কাপড়টি পরিবর্তন করুন।

ইপসম লবণ :- ইপসম লবণের বৈজ্ঞানিক নাম ম্যাগনেসিয়াম সালফেট যা পেরেক বৃদ্ধির চিকিৎসায় কার্যকর।  এটি আক্রান্ত নখের ত্বককে নরম করতে সহায়তা করে। এটি মাংস অনুপ্রবিষ্ট এবং  হ্রাস পাওয়া নখগুলি সরানো সহজ করে তোলে। এর জন্য এক টেবিল চামচ ইপসম লবণ একটি  গরম জলে ভরা বোল/বাল্টিতে নিন এবং সেখানে 20 মিনিটের জন্য অক্রান্ত পাটি ডুবিয়ে রাখুন। তারপরে মিশ্রণ থেকে পা সরিয়ে ভালভাবে পা মুছুন নিন। এই প্রক্রিয়াটি সপ্তাহে ৩/৪ বার  করুন।

এছাড়াও:-  ‘হাইড্রোজেন পারক্সাইড, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান, লেবু, চা গাছের তেল, আপেল সিডার ভিনেগার এবং হলুদ ব্যবহার করা যেতে পারে’। তবে ‘প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই ভাল’। সুতরাং ‘আপনার নখগুলি সোজা করে কাটুন’, ‘পায়ের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করুন’,

নখকুনি বাচতে প্রতিদিন বাইরে থেকে আসার পরে আপনার পাগুলি ভালভাবে ধুয়ে নিন, আরামদায়ক এবং পায়ের আকারের জুতা পরুন, প্রতিদিন গোসলের সময় আপনার পা বেলেপাথর দিয়ে ঘষুন যাতে পায়ের ত্বক শক্ত না হয়।  এবং প্রতিদিন ‘পরিষ্কার মোজা পড়ুন’। 

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুরে গরু লালন পালন করে স্বাবলম্বী জোবেদা খাতুন

অর্থ-বাণিজ্য

শাহজাদপুরে গরু লালন পালন করে স্বাবলম্বী জোবেদা খাতুন

শাহজাদপুরে পোতাজিয়া গ্রামে ব্যবসায়ী আব্দুস সালামের শতাধিক গরু দেখাশোনা করেন তারই সহধর্মিণী জোবেদা খাতুন। মৌসুমী, বৃষ্টি,...

শাহজাদপুরে ১৪৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ

পড়াশোনা

শাহজাদপুরে ১৪৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ

নিজস্ব প্রতিনিধি: ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করে শ্রেণি পাঠদানের জন্য শাহজাদপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ কর...

শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্য আটক

অপরাধ

শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্য আটক

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে ছিনতাই হয়ে যাওয়া দুটি অটোবাইক উদ্ধারসহ অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ। সোমবার...

মহান ওস্তাদজী শাহ্ সামসুদ্দীন তাবরেজি (রহ.)'র দিনব্যাপী বাৎসরিক ওরশ শুরু

ধর্ম

মহান ওস্তাদজী শাহ্ সামসুদ্দীন তাবরেজি (রহ.)'র দিনব্যাপী বাৎসরিক ওরশ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ (বুধবার) সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর পৌরসদরের দরগাহপাড়া মহল্লাস্থ করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত মখদুমিয়া...

কবিগুরুর ভাষ্কর্য ভালে পাকুড় বৃক্ষ জন্মেছে!

জানা-অজানা

কবিগুরুর ভাষ্কর্য ভালে পাকুড় বৃক্ষ জন্মেছে!

শামছুর রহমান শিশির: ঊনবিংশ শতাব্দিতে বাংলার সাহিত্য গগণে ও বিশ্ব জ্ঞান পরিমন্ডলে 'ভারস্যাটাইল জিনিয়াস' খ্যাত কবিগুরু রবী...

শাহজাদপুরে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ! নিহত ২

শাহজাদপুর

শাহজাদপুরে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ! নিহত ২

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাটি পরিবহনের ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজির চালকসহ ২ জন...