শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম সূত্র: বিবিসি, এএফপি, আল-জাজিরা : এবার গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি অবরোধ তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা। ফিলিস্তিন উদ্বাস্তুসংক্রান্ত জাতিসংঘ সংস্থা (ইউএনআরডাব্লিউএ) মুখপাত্র ক্রিস গিনেস বলেন, পুনর্গঠনের জন্য সাত বছর ধরে চলা অবরোধ অবশ্যই প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে সংঘাত নিরসনে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে পাওয়া জরুরি বলেও মনে করেন তিনি। এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শনিবার রাতেও তিনটি মসজিদসহ ছয়টি বাড়িতে বোমা মারা হয়। নিহত হয় পাঁচজন। হামাসের রকেট হামলাও চলছে। চলছে অস্ত্রবিরতিতে পৌঁছানোর আলোচনা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ ব্যাপারে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশা প্রকাশ করলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তেমন কোনো সুসংবাদ পাওয়া যায়নি। গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, তারা কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়। অন্যদিকে হামলা আরো জোরদার করার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল।
ইউএনআরডাব্লিউএর মুখপাত্র গিনেস গতকাল বলেন, ‘গাজার একটি বড় অংশ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাত বেঁধে রাখলে আমাদের পক্ষে পুনর্গঠনের কাজ করা সম্ভব নয়। অবরোধ অবশ্যই তুলে নিতে হবে। যারা এই ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত তাদেরই ব্যবস্থা নিতে হবে।’ অবরোধ প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় হামাসও। ইসরায়েল ২০০৬ সালে তাদের এক সেনাকে অপহরণের দোহাই দিয়ে গাজার স্থল ও সমুদ্রে অবরোধ আরোপ করে। পরে আন্তর্জাতিক চাপের কারণে ২০১০ সালে খাবার ও নির্মাণসামগ্রীর ওপর থেকে অপরোধ প্রত্যাহার করে তারা। ২০১২ সালে অবরোধ আরো কিছুটা শিথিল করা হয়। তবে গত ৮ জুলাই থেকে ইসরায়েলের অপারেশন প্রটেকটিভ এজ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৬৫ হাজার ফিলিস্তিনি গৃহহীন হয়েছে। গিনেস বলেন, ‘মানবসৃষ্ট গৃহহীনতার সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।’ ইতিমধ্যে গাজার পানি, বিদ্যুৎ ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ পুনর্গঠনের পরিকল্পনা শুরু করেছে জাতিসংঘ। ‘এটাই (পুনর্গঠন) এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। নয়তো মানুষ বাড়ি ফিরতে পারছে না। ধ্বংসাবশেষ সরানোটাও গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য আমরা স্থানীয় শ্রমিকদের ব্যবহার করব। এতে গাজার অর্থনীতিও গতি পাবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক উদ্বেগ যৌক্তিক। তবে তার জন্য গাজার ১৮ লাখ মানুষকে সমষ্টিগতভাবে শাস্তি দেওয়া কোনো কার্যকর পদ্ধতি নয়। ইসরায়েলের অকার্যকর নয় বরং কার্যকর হওয়ার সময় এসেছে। একই সঙ্গে বিশ্ববাসীকেও বুঝতে হবে গাজা সংকটের রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন।’তবে তেমন কোনো সম্ভাবনা আপাতত নেই বললেই চলে। মিসরে চলমান অস্ত্রবিরতির আলোচনার মধ্যেই গতকাল ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরো পাঁচ গাজাবাসী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩১ জন। হামলা চালানো হয়েছে তিনটি মসজিদে। এর মধ্যে আল-কাশেম মসজিদ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল ধ্বংসাবশেষ থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়। এই নিয়ে গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ৯৬০ জনে। এর মধ্যে ৪৪৮টি শিশুসহ এক হাজার ৪০৭ জনই বেসামরিক নাগরিক। গাজা থেকে গতকাল সকালেও পাঁচটি রকেট ছোড়া হয়। এই সংঘর্ষে ইসরায়েলের ৬৪ সেনা নিহত হয়েছে। বেসামরিক নাগরিক মারা গেছে তিনজন।ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে তিন দিনের অস্ত্রবিরতি গত শুক্রবার সমাপ্ত হওয়ার পর আবারও অস্ত্রবিরতির আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে হামাস গতকাল জানিয়েছে, দাবির ক্ষেত্রে তারা কোনো ছাড় দেবে না। সংগঠনের মুখপাত্র ফৌজি বারহাম এক বিবৃতিতে জানান, ‘প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে। পিছু হঠার প্রশ্নই আসে না।’ হামাস গোড়া থেকেই ইসরায়েলি অবরোধ প্রত্যাহার, একটি সমুদ্রবন্দর নির্মাণ এবং বন্দিমুক্তিসহ বেশ কিছু দাবিতে অনড়। এদিকে ইসরায়েল এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, গতকাল গাজার ৩৩টি স্থানে হামলা চালিয়েছে তারা। এই হামলা আরো জোরদারের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। যদিও মিসরে এখনো তারা অস্ত্রবিরতির আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্পর্কিত সংবাদ
ফটোগ্যালারী
বিগ ডাটা কি এবং কেন! ( What is Big Data and Why? )
অপরাধ
শাহজাদপুরে ওয়ার্ড আ.লীগের সেক্রেটারিকে কুপিয়ে জখম
নিজস্ব প্রতিনিধি : গতকাল সোমবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন স্থানে গাড়াদহ ইউনিয়নের ৩...
জীবনজাপন
শাহজাদপুর-পাবনা মহাসড়কে ৩০ বাঁক যাত্রীদের জন্য মৃত্যুফাঁদ
নিজস্ব প্রতিবেদক, শাহজাদপুর : শাহজাদপুর-পাবনা মহাসড়কের ৩০ টি বাঁকে বাঁকে রয়েছে মৃত্যুফাঁদ। এসব বাঁকে বাঁকে প্রতিনিয়তই ঘট...
ফটোগ্যালারী
সিরাজগঞ্জের মৃৎশিল্পীদের ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা; থমকে চলছে জীবনের চাকা
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : "দিনক দিন চাল, ডাল, এঁটেল মাটিসহ সব জিনিসের দাম বেড়েছে। কমেছে শুধু মাটির তৈরি জিনিসপত্রের। বাপদাদা...