শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঝালকাঠিতে ১০ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করে গুরুতর আহত করার অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহকে ধরে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।

শনিবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের কে.এ খান হাফেজী মাদ্রাসা থেকে তাকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এর আগে বেলা তিনটার দিকে কে.এ খান হাফেজী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটলেও সন্ধ্যার পরে বিষয়টি স্থানীয়রা জানতে পারে।

জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কে.এ খান হাফেজী মাদ্রাসা চালু রেখে পড়াশোনা চালিয়ে আসছিলেন মাদ্রাসাটির একমাত্র শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ।

গতকাল শনিবার বেলা তিনটার দিকে মাদ্রাসার ভেতরে শিক্ষার্থীরা খেলা করছিল। একই সময় দুপুরের খাবার খেয়ে মাদ্রাসার ভেতরেই ঘুময়ে ছিলেন শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ।

এ সময় শিক্ষার্থীদের খেলার শব্দে মোহাম্মদ উল্লাহর ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম ভেঙে গেলে শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ ক্ষেপে গিয়ে কক্ষের দরজা বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের বেধম বেত্রাঘাত করেন।

এতে আমিনুল ইসলাম (১০), মোহাম্মদ সিয়াম (৯), মো. আমিনুল (৯) এবং মো. ইয়াছিনসহ (১৪) ১০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এরপর শিক্ষার্থীরা ব্যথায় কান্নাকাটি করতে থাকলে শিক্ষার্থীকে কক্ষের মধ্যে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন ঐ শিক্ষক এবং মারধরের বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য সকল শিক্ষার্থীকে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

পরে মাগরিবের নামাজের সময় পেছন থেকে সুকৌশলে নলছিটি উপজেলার বারইকরণ গ্রামের প্রবাসী আব্দুর রহিমের ছেলে মো. সিয়াম (৯) পালিয়ে কাঁদতে কাঁদতে পোনাবালিয়া বাজারে গিয়ে এলাকাবাসীকে বিষয়টি জানায়।

শিক্ষার্থী পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মোরশেদ খানকে ঘটনাটি জানিয়ে দ্রুত মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়ে সকল শিক্ষার্থীকে বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।

এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে পোনাবালিয়া বাজারের কয়েকশত স্থানীয় মাদ্রাসা ঘেরাও করে শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয় ও গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং এদের মধ্যে গুরুতর আহত শিশু সিয়ামকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত এগারটার দিকে মোহাম্মদ উল্লাহকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের অভিযোগে শিশু আইনে এক শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে আজ রবিবার সকালে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতে প্রেরণের কার্য়ক্রম চলছে।

সম্পর্কিত সংবাদ

তৃতীয় বর্ষ পদার্পনে প্রধান সম্পাদকের মন্তব্য ও বক্তব্য

সম্পাদকীয়

তৃতীয় বর্ষ পদার্পনে প্রধান সম্পাদকের মন্তব্য ও বক্তব্য

সরকার যমুনায় আরো একটি টার্ণেল নির্মাণের চিন্তা ভাবনা করছে- ওবায়দুল কাদের

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

সরকার যমুনায় আরো একটি টার্ণেল নির্মাণের চিন্তা ভাবনা করছে- ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যমুনা নদীতে আরেকটি টার্ণেল নি...

শাহজাদপুর পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের বিশাল আনন্দ শোভাযাত্রা

জাতীয়

শাহজাদপুর পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের বিশাল আনন্দ শোভাযাত্রা

বক্তব্যে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শাহজাদপুর পৌর শাখার সাধারন সম্পাদক মানিক সরকার বলেন, ‘দেশী বিদেশী নানা ষড়যন্ত্র প্রত...

বসন্তের আগমনী বার্তা পরিবর্তনের আভাস

জাতীয়

বসন্তের আগমনী বার্তা পরিবর্তনের আভাস

“হে কবি , নিরব কেন ফাগুন যে এসেছে ধরায়, বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়?” সত্যিই ফুঠে উঠেছে আজ কবি সুফিয়া কামালের...

শাহজাদপুরকে জেলা ঘোষনার দাবীতে মানববন্ধন

ফটোগ্যালারী

শাহজাদপুরকে জেলা ঘোষনার দাবীতে মানববন্ধন

এম এ হান্নান শেখ, কোর্ট রিপোর্টারঃ আজ সোমবার সকাল ১১টায় শাহজাদপুর উপজেলা আইনজীবি শাখা শাহজাদপুরকে জেলা ঘোষনার দাবীতে শাহ...