শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম ঃআজ আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস। প্রতিবছর ১৬ সেপ্টেম্বর দুনিয়াজুড়ে এ দিনটি পালিত হয় সেই ১৯৯৫ সাল থেকে। এবার দিনটির প্রতিপাদ্য ওজোনস্তর সুরক্ষা : লক্ষ্যে অবিচল আমরা। জাতিসংঘের সব সদস্য দেশ দিনটি পালনে নানা কর্মসূচি নিয়েছে। পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোরও রয়েছে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সেই প্রতিপাদ্য ঘিরে। বিশ্বজুড়ে এ ব্যাপারে জনসচেতনতা তৈরির জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনসহ রাষ্ট্রনায়করা প্রথাগত বাণী দিয়েছেন।
কোনো কোনো বিজ্ঞানীর মতে, বিশ্বের ওজোনস্তর ফুটো হয়ে গেছে। অনেক সাধারণ মানুষ মনে করেন তাতে আমাদের কী এলো গেল? পৃথিবী ফুটো হয়ে গেলেই বা কি? চারদিকে যেভাবে নদ-নদী মরে যাচ্ছে, খালবিল দখল হয়ে যাচ্ছে, বন-বাদাড় উজাড় হচ্ছে, পাহাড় কেটে লোকালয় হচ্ছে। সেখানে ওজোনস্তর ফুটো হলে তেমন আর কী সমস্যা?
আমাদের আসলে বুঝতে হবে ওজোনস্তর পৃথিবীকে ছাতার মতো আড়াল করে বহুকাল ধরে রেখেছে। এ ছাতার কারণে সূর্যের অতিবেগুনি ক্ষতিকর রশ্মি পৃথিবীর বুকে আসতে পারে না। ওজোনস্তর তাকে আসতে দেয় না। সে জন্যই পৃথিবীতে আমরা জীব-জগৎ টিকে আছি। সভ্যতা টিকে আছে। প্রাণবৈচিত্র্য রয়েছে। সূর্যের ক্ষতিকর বেগুনি রশ্মির ৯৯ ভাগ ওজোনস্তর শোষণ করে। মাত্র একভাগ পৃথিবীতে এসে পড়ে। সেই একভাগও বিশ্বের জীব-প্রাণবৈচিত্র্যের জন্য হুমকি।
বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তর সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ভূমণ্ডলকে রক্ষা করে। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, এর জন্য দায়ী কয়েকটি ক্ষতিকর গ্যাস। যেমন ক্লোরোফ্লোরো কার্বনসহ (সিএফসি) অন্যান্য ওজোনস্তর ক্ষয়কারী গ্যাস। এদের অতি মাত্রায় উৎপাদন ও ব্যবহারের ফলে বিশ্বের ওজোনস্তর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ক্ষয়িষ্ণু ওজোনস্তর সুরক্ষায় ১৯৮৭ সালে গৃহীত হয় মন্ট্রিল প্রটোকল বা মন্ট্রিল চুক্তি। বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর চুক্তিগুলোর এটি একটি। পৃথিবীর প্রাণমণ্ডল রক্ষায় এটি এক অনন্য চুক্তি। বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করে। প্রটোকরের পরবর্তী সংশোধনীগুলোতেও বাংলাদেশ সই করে। বাংলাদেশসহ সদস্য দেশগুলো মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়ন করছে। এর ফলে ওজোনস্তর সুরক্ষায় আমরা এগোচ্ছি। আবার ক্ষতিকর গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখছি।
বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ওজোনস্তর বিনষ্টকারী অ্যারোসলের উৎপাদন ও ব্যবহার কমাতে সামর্থ্য হয়েছে। সিএফসির ব্যবহারও কমেছে এ দেশে। কিন্তু পুরোপুরি এখনও আমরা সফল হইনি। সে জন্য এ দিবসের গুরুত্ব।
আজ ওজোন দিবস পালিত হচ্ছে। কিন্তু কেবল বাণী, ভাষণ, সেমিনার আর র্যালির মধ্যে দিনটি বৃত্তবন্দি থাকলে লাভের লাভ কিছু হবে না। দেশের উৎপাদক, সাধারণ মানুষ আর নীতি প্রণেতারা যদি ওজোনস্তর সম্পর্কে সারা বছর সচেতন থাকেন তবেই মন্ট্রিল চুক্তির সার্থকতা। বিশ্বের দেশে দেশে দিবসটি পালনের মর্মবাণী সবার কাছে সঠিকভাবে পৌঁছলেই ওজোনস্তরের সুরক্ষা সম্ভব। টেকসই এক বাসযোগ্য নিরাপদ পৃথিবী গড়া সম্ভব।
সম্পর্কিত সংবাদ
ফটোগ্যালারী
শাহজাদপুরে বাড়ির ছাদে হচ্ছে ফল ও সব্জি চাষ
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পৌর শহরের দ্বারিয়াপুর লোদীপাড়া গ্রামে বাড়ির ছাদের টবে হচ্ছে কীটনাশক ও বি...
শাহজাদপুরে ৩ দিন ধরে চলছে ড্রেজার মালিক-কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট
শাহজাদপুর প্রতিনিধি :: গত ৩ দিন ধরে শাহজাদপুর উপজেলার করতোয়া-ফুলজোর বালু মহলের শ্রমিক ও...
অপরাধ
শাহজাদপুরে পুলিশি অভিযানে ২ নেশাদ্রব্য বিক্রেতা গ্রেফতার
রাষ্ট্রদূত বলেন, চলতি বছর চীন ২৩টি দ্বিপক্ষীয় সেমিনার এবং ৩০টি বহুপক্ষীয় প্রশিক্ষণ ও সেমিনারের আয়োজন করবে। যেখানে ৫০০-এ... সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও ১নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মোক্ত...
পরিবেশ ও জলবায়ু
তিস্তা প্রকল্পে অংশগ্রহণে প্রস্তুত বেইজিং: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন
সিরাজগঞ্জ জেলার সংবাদ
তাড়াশে আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ
জাতীয়
সংসদ সচিবালয়ের ৩৩৫ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন
