রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
স্বাধীনভাবে নাগরিকদের অহিংস আন্দোলন সংগ্রাম করা ও স্বাধীন মতামত পেশ করার সুযোগ দানই হলো গণতান্ত্রিক রাজনীতির রীতিনীতি ও সাংবিধানিক অধিকার। বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে সেটি হারিয়ে গেছে। এখন রাষ্ট্রের মাঝে দুটি পক্ষ বিদ্যমান। এক পক্ষ হচ্ছে- রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রক রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও আমলারা। দ্বিতীয় পক্ষ হচ্ছ-দেশের সাধারণ নাগরিকগণ। রাষ্ট্র পক্ষ নাগরিক সাধারণকে অধিকার বঞ্চিত করলেও সে কথা প্রকাশ করবার যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি সেটিরও অবশিষ্ট বাংলদেশে আছে বলে মনে হয়না। নিরস্ত্র অহিংস আন্দোলনকারীদের ওপর রাষ্ট্রের বিশেষ অঙ্গগুলো যখন শসস্ত্র বল প্রয়োগ করে তখন রাষ্ট্র তার গণতান্ত্রিক চরিত্র হারিয়ে ফেলে। ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় পাকিস্তানের ২২ পরিবারের শাসন ও শোষণ থেকে বাঙালির জাতীয়, সাংস্কৃতিক, অর্নৈতিক মুক্তি ও গণতন্ত্র কায়েমের জন্য শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগে রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হলেও মুক্তিযোদ্ধারা যেমন মূল্যায়িত, সম্মানীত হতে পারেননি, তেমনি গনতন্ত্রও আজ অন্ধাকার পথে যাত্রা শুরু করেছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল চরিত্র, মুক্তিযুদ্ধের চাওয়া পাওয়ার আকাঙ্খা, মুক্তিযুদ্ধর মুল চেতনা এখন উল্টো পথে, উল্টো রথে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কলঙ্কিত। বাংলাদেশের নাগরীক সাধারণেরা পাকিস্তানের ২২ পরিবারের শাসন ও শোষণ মুক্ত হয়ে এখন ২২ হাজার ধনিক বণিকের শাসন শোষণের বেড়াজ্বালে বন্দী। স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী ৫০ বছর পূর্তিতে এসে এটি জাতির জন্য এক ভয়ঙ্কর অশুভ বার্তা বহন করছে। এখন মুক্তির উপায় নিয়ে নতুন প্রজন্মকে নতুন করে ভাবতে হবে। তথাকথিত রাজনৈতিক দলের সাথে গা ভাসিয়ে দিয়ে দেশকে, দেশের জনগণকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয়ার কো যৌক্তিকতা নেই। এমন অপরাজনীতে কারো মুক্তি মিলবেনা। রাষ্ট্রের মাঝে এধরনের অসাঞ্জস্যমুলক আঁচরণ ও অব্যবস্থাপনার মাঝ দিয়ে ধর্মান্ধ পাকিস্তান পন্থীরা এখন রাজধানী শহর নগর থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যন্ত তাদের শিকড় বাকর গজিয়ে শিরদাঁড়া উচু করে দাঁড়িয়েছে। যা ভবিষ্যতে রাষ্ট্রকে শুধু অন্ধকার পথেই ঠিলে নিবে না। রাষ্ট্রের মূল চরিত্র ও কাঠামোর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। উপসংহারে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শুধু এটুকু বলতে চাই, আমরা এমন একটি স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য যুদ্ধ করিনি। যেখানে শোষণ বঞ্চনা বৈষম্য চিরস্থায়ী হবে। নিপিড়ন বাড়বে। দেশ স্বাধীন করাও আমাদের ভুল কিম্বা অপরাধ ছিলনা। বাংলাদেশ স্বাধীন পরবর্তী সাধারণ মানুষের মুক্তির মাঝ দিয়ে আমার মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলাম। এখন মনের মাঝে প্রশ্ন জাগে তাহলে কি আমরা হেরে গেছি, হেরে যাচ্ছি? নতুন প্রজন্ম রাজনীতিতে বলিয়ান হবার আহ্বান জনাই। এখনই ঘুড়ে দাঁড়াবার উপযুক্ত সময়।   বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার প্রধান সম্পাদক, শাহজাদপুর সংবাদ ডটকম ২২ এপ্রিল, ২০২১ খৃষ্টাব্দ, বৃহস্পতিবার।  

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুরের জনদরদী ভাষা সৈনিক ডা. আলী আজমল বুলবুল

জাতীয়

শাহজাদপুরের জনদরদী ভাষা সৈনিক ডা. আলী আজমল বুলবুল

শামছুর রহমান শিশির : বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের এক লড়াকু সৈনিক ডা. আলী আজমল বুলবুল। মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষার দাবীতে ১৯...

শাহজাদপুরে ৪ তলা মসজিদের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করলেন প্রফেসর ড. এমএ মুহিত

ধর্ম

শাহজাদপুরে ৪ তলা মসজিদের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করলেন প্রফেসর ড. এমএ মুহিত

শামছুর রহমান শিশির : গতকাল শুক্রবার বাদ জুম্মা শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের শ্রীফলতলা গ্রামের শতাব্দি প্রা...

যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধে ফের ধ্বস; দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিলেন এমপি স্বপন

বন্যা

যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধে ফের ধ্বস; দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিলেন এমপি স্বপন

নিজস্ব সংবাদদাতা: ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী থেকে বিনোটিয়া পর্যন্ত যমুনা নদীর...

কৈজুরী ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ এর চাল বিতরণ

শাহজাদপুর

কৈজুরী ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ এর চাল বিতরণ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর প্রভাবে কর্মহীন ও দুস্থদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃ...

শীতের চাদরে মুড়িয়ে গাঁদা ফুলের সমাহার

শীতের চাদরে মুড়িয়ে গাঁদা ফুলের সমাহার

চন্দন কুমার আচার্য, বেলকুচি প্রতিনিধিঃ শীতের সকালে প্রকৃতি যখন শীতের চাদর মুড়িয়ে থাকে তখ...

শাহজাদপুরে ইটবোঝাই ট্রলি চাপায় স্কুলছাত্র নিহত

শাহজাদপুর

শাহজাদপুরে ইটবোঝাই ট্রলি চাপায় স্কুলছাত্র নিহত

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নগরডালা-কৈজুরী আঞ্চলিক সড়কের ডায়া কবরস্থান সংলগ্ন স্থানে ইটবোঝ...