সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
সাগর বসাক ও শামছুর রহমান শিশির, শাহজাদপুর থেকে : চারিদিকে শুধু মাঠ আর মাঠ। নির্জন ওই স্থানটি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের রেশমবাড়িসহ আশপাশের শতশত বাথান এলাকার দৃশ্য। ওই মাঠের মধ্য দিয়ে বহমান ধলাই নদীতে হাঁস প্রতিপালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন আজমত আলী নামের এক সফল খামারী। তার দেশের বাড়ি পাবনা জেলার আতাইকুলা থানার গাড়–লিয়া গ্রামে। ৩০ টি হাঁস প্রতিপালনের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে এ কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। একনিষ্ঠ পরিশ্রমে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ১২’শ হাঁসের মালিক হয়ে দৃষ্টান্তমূলক নজির স্থাপন করেছেন। জানা গেছে, গত বছর সফল খামারী আজমত আলী শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের ধলাই নদীর পাশে একটি হাঁসের খামার স্থাপনের জন্য শাহজাদপুরে আসেন। স্বল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করে অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি হাঁস প্রতিপালন করে নিজের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে সক্ষম হয়েছেন। হাঁস প্রতিপালন করে তিনি জমিজমা ক্রয়সহ ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া স্বাচ্ছন্দের সাথে পরিচালনা করছেন। খামারী আজমত আলী জানান, হাঁস প্রতিপালনের উপযুক্ত ক্ষেত্র হলো নদী তীরবর্তী এলাকা। উপযুক্ত ক্ষেত্র হওয়ায় তিনি হাঁস প্রতিপালনের জন্য শাহজাদপুরের এ স্থান বেছে নিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান, নদী তীরবর্তী এমন এলাকায় হাঁসের অন্যতম প্রধান খাদ্য শামুকসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার খুব সহজেই মেলে। এতে হাঁস প্রতিপালনে হাঁসের খাবারের ব্যয় কমে প্রায় শুণ্যের কোঠায় নেমে আসায় লাভের পরিমান বেশী হয়। প্রতিদিন সকালে তিনি নদীতে হাঁসগুলোকে ছেড়ে দেন এবং সন্ধ্যায় ফের খামারে নিয়ে যান। খামারে থাকাবস্থায় হাঁসগুলোকে ধান ও গম খাবার হিসেবে দেয়া হয়। প্রায় ১২’শ হাঁসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমান নিয়মিত ডিম দেয়ায় ডিম বিক্রি করেও দৈনিক একটা বড় অংকের অর্থ পাওয়া যায়। এসব কাজের জন্য ৩/৪ জন কর্মচারীকে বেতনের ভিত্তিতে সেখানে রাখা হয়েছে। কিন্তু এলাকাটি অপেক্ষাকৃত দুর্গম হওয়ায় অনেকেই বেশী অর্থ ছাড়া সেখানে কাজ করতে চান না। তার পরেও পেশাটি অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় দুর্গম স্থানে বেশী বেতনের কর্মচারী রেখেও যে নীট মুনাফা আয় হয় তা অতি দ্রæত তাকে সাবলম্বী করে তুলেছে। সফল খামারী আজমত আলী দেশের বেকার যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন,‘বেকারেরা অতি অল্প পুঁজিতে তার এ পেশা অনুকরণ করে অল্প সময়েই তাদের ভাগ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতির চাকাকেও গতিশীল করতে পারেন। এ জন্য হাঁস প্রতিপালন বিষয়ে সব ধরনের সহযোগীতাও বেকারদের দেয়ার আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি। পালনে আজমতের ভাগ্য বদল নিজস্ব প্রতিবেদক, শাহজাদপুর : চারিদিকে শুধু মাঠ আর মাঠ। নির্জন ওই স্থানটি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের রেশমবাড়িসহ আশপাশের শতশত বাথান এলাকার দৃশ্য। ওই মাঠের মধ্য দিয়ে বহমান ধলাই নদীতে হাঁস প্রতিপালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন আজমত আলী নামের এক সফল খামারী। তার দেশের বাড়ি পাবনা জেলার আতাইকুলা থানার গাড়–লিয়া গ্রামে। ৩০ টি হাঁস প্রতিপালনের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে এ কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। একনিষ্ঠ পরিশ্রমে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ১২’শ হাঁসের মালিক হয়ে দৃষ্টান্তমূলক নজির স্থাপন করেছেন। জানা গেছে, গত বছর সফল খামারী আজমত আলী শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের ধলাই নদীর পাশে একটি হাঁসের খামার স্থাপনের জন্য শাহজাদপুরে আসেন। স্বল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করে অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি হাঁস প্রতিপালন করে নিজের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে সক্ষম হয়েছেন। হাঁস প্রতিপালন করে তিনি জমিজমা ক্রয়সহ ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া স্বাচ্ছন্দের সাথে পরিচালনা করছেন। খামারী আজমত আলী জানান, হাঁস প্রতিপালনের উপযুক্ত ক্ষেত্র হলো নদী তীরবর্তী এলাকা। উপযুক্ত ক্ষেত্র হওয়ায় তিনি হাঁস প্রতিপালনের জন্য শাহজাদপুরের এ স্থান বেছে নিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান, নদী তীরবর্তী এমন এলাকায় হাঁসের অন্যতম প্রধান খাদ্য শামুকসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার খুব সহজেই মেলে। এতে হাঁস প্রতিপালনে হাঁসের খাবারের ব্যয় কমে প্রায় শুণ্যের কোঠায় নেমে আসায় লাভের পরিমান বেশী হয়। প্রতিদিন সকালে তিনি নদীতে হাঁসগুলোকে ছেড়ে দেন এবং সন্ধ্যায় ফের খামারে নিয়ে যান। খামারে থাকাবস্থায় হাঁসগুলোকে ধান ও গম খাবার হিসেবে দেয়া হয়। প্রায় ১২’শ হাঁসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমান নিয়মিত ডিম দেয়ায় ডিম বিক্রি করেও দৈনিক একটা বড় অংকের অর্থ পাওয়া যায়। এসব কাজের জন্য ৩/৪ জন কর্মচারীকে বেতনের ভিত্তিতে সেখানে রাখা হয়েছে। কিন্তু এলাকাটি অপেক্ষাকৃত দুর্গম হওয়ায় অনেকেই বেশী অর্থ ছাড়া সেখানে কাজ করতে চান না। তার পরেও পেশাটি অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় দুর্গম স্থানে বেশী বেতনের কর্মচারী রেখেও যে নীট মুনাফা আয় হয় তা অতি দ্রæত তাকে সাবলম্বী করে তুলেছে। সফল খামারী আজমত আলী দেশের বেকার যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন,‘বেকারেরা অতি অল্প পুঁজিতে তার এ পেশা অনুকরণ করে অল্প সময়েই তাদের ভাগ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতির চাকাকেও গতিশীল করতে পারেন। এ জন্য হাঁস প্রতিপালন বিষয়ে সব ধরনের সহযোগীতাও বেকারদের দেয়ার আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।

সম্পর্কিত সংবাদ

৩’শ ৬০ জন দুগ্ধদাই মাতাকে ভাতা কার্ড প্রদান

৩’শ ৬০ জন দুগ্ধদাই মাতাকে ভাতা কার্ড প্রদান

শাহজাদপুর  প্রতিনিধি: গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিলের আওতায় শাহজাদপুর পৌরসভা কর্তৃক বাছাইকৃত উপক...

৪২ দিন পর সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলার চার্জশীট আমলে নিলেন আদালত

আইন-আদালত

৪২ দিন পর সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলার চার্জশীট আমলে নিলেন আদালত

শামছুর রহমান শিশির, শাহজাদপুর থেকে : আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সংঘটিত দেশ-বিদেশে বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর দৈনিক...

৪ ফেব্রুয়ারী সালমান, সানি লিওন আসছেন ঢাকায়

৪ ফেব্রুয়ারী সালমান, সানি লিওন আসছেন ঢাকায়