শাহজাদপুর প্রতিনিধি : সিরাজগগঞ্জ জেলার তাঁতসমৃদ্ধ শাহজাদপুর উপজেলার শাহজাদপুর-এনায়েতপুর সড়কের বেহালদশার কারণে দীর্ঘদিন ধরে ৪টি থানার প্রায় ২ লাখ মানুষ চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। থানা গুলি হল শাহজাদপুর, এনায়েতপুর, চৌহালি ও বেলকুচি। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে শতাধিক সিএনজি-টেম্পু, অর্ধশতাধিক নছিমন-করিমন এবং অর্ধশতাধিক বাস ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে থাকে। সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালগামী রোগীদের। তারা পথিমধ্যে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের অধিকাংশ স্থানে কার্পেট উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যাত্রীদের চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। ভাঙ্গাচোড়া এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলতে গিয়ে প্রায়ই দূর্ঘটনার কবলে পতিত হচ্ছে। এছাড়া হতাহতের ঘটনাও নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। গত ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রাস্তাটি পরিদর্শন করে ১ বছরের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিলেও, সেই নির্দেশ এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। তাঁতসমৃদ্ধ এ অঞ্চলে ৩টি হাটে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা আসে কাপড় বেঁচা-কেনা করতে। হাট গুলি হল শাহজাদপুর, সোহাগপুর, এনায়েতপুর কাপড়ের হাট। এ সড়কটি সংস্কারের অভাবে এ সব হাটে বেচা-বিক্রি আগের তুলনায় কমে গেছে। এ সড়ক দিয়ে কাপড়ের গাইট পরিবহণ মুশকিল হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটি মেরাতমের দাবি জানালেও সড়ক ও জনপথ বিভাগ আর্থিক বরাদ্দ না থাকার অজুহাতে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি মেরামতে গরিমশি করছে। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে দিন দিন অসন্তোষ বাড়ছে। খুকনী গ্রামের ব্যবসায়ী এনামুল হক জানান, প্রতি হাট বারে তার ৩ গাড়ি করে কাপড়ের গাইট হাটে আনা নেওয়া করতে হয়। এ সড়কটি ভেঙ্গে জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণে আগের চেয়ে তাকে ৩ গুণ ভাড়া বেশি গুনতে হয়। এতে তার ব্যবসায় চরম লোকসান গুনতে হচ্ছে। একই অভিযোগ করেন এনায়েতপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ, গুপিনাথপুর গ্রামের গহের আলী, গোপালপুর গ্রামের মজনু মিয়া। অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির চিকিৎসাসেবার স্থান খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে প্রতিদিন খানা খন্দকের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে অসংখ্য অ্যম্বুলেন্স,শতশত সিএনজি টেম্পু, নসিমন করিমন চলাচল করছে।এ সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন চালকদের ভাষ্যমতে, ওই সড়কের বিভিন্ন স্থান দিয়ে অত্যন্ত পরিমিত গতিতে যানবাহন চলাচল করাটাই অত্যন্ত দূরহ হয়ে পড়েছে। ফলে এ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার এলাকাবাসীর ১০ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগছে আধাঘন্টার উপরে। এতে একদিকে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের একদিকে যেমন তিনগুন সময় লাগছে, অন্যদিকে ওই খানা খন্দকে ভরা সড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে। তাদের এ অবর্ণনীয় দুঃখ দুর্ভোগ,দুর্দশা দেখার কি কেউ নেই,লাঘব করার কি কেউ নেই-এ প্রশ্ন এখন ওই সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী জনমানুষের। এলাকাবাসীর দাবী, এ সড়কটি অতি দ্রুত মেরামত করা হলে একদিকে যেমন তাদের ব্যবসায়ীক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে জনদুর্ভোগ বহুলাংশে হ্রাস পেতো।
সম্পর্কিত সংবাদ
                    ৩’শ ৬০ জন দুগ্ধদাই মাতাকে ভাতা কার্ড প্রদান
শাহজাদপুর প্রতিনিধি: গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিলের আওতায় শাহজাদপুর পৌরসভা কর্তৃক বাছাইকৃত উপক...
                    আইন-আদালত
৪২ দিন পর সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলার চার্জশীট আমলে নিলেন আদালত
শামছুর রহমান শিশির, শাহজাদপুর থেকে : আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সংঘটিত দেশ-বিদেশে বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর দৈনিক...
                    রাজনীতি
সিরাজগঞ্জে পৌর নির্বাচনে বিএনপি’র ৬ প্রার্থী চূড়ান্ত
অনলাইন ডেস্কঃ সিরাজগঞ্জের ছয়টি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন...
                    