রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
এ বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া টানা একমাসের লকডাউনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের আবাসিক হোটেলগুলো ফাকা পড়ে আছে। স্টাফ বেতন, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে হিমসিম খাচ্ছে হোটেল মালিকরা। আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে মানুষ আসতে না পারায় আবাসিক হোটেল ব্যবসা বন্ধ হয়ে রয়েছে। শাহজাদপুরের আবাসিক হোটেল - চৌধুরী রেসিডেন্স, সিরাজ আবাসিক, হোটেল নুর, মোহনা হোটেল ও ঢাকা আবাসিকে খোজ নিয়ে এমন অবস্থা পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, শাহজাদপুর উপজেলা বাংলাদেশের মধ্যে একটি ব্যবসায়ী ও পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাপড়ের হাট শাহজাদপুরে অবস্থিত। সপ্তাহের প্রতি রবিবার ও বুধবার কাপড়ের হাট বসার কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমনকি ভারত থেকে ও ক্রেতারা আসেন শাহজাদপুর কাপড়ের হাটে। এ হাট হতে শাড়ি, লুংগি, গামছা, ত্রিপিস, বোরকা ক্রয় করতে শাহজাদপুরে এসে তারা সপ্তাহে চারদিন আবাসিক হোটেলে অবস্থান করেন। টানা লকডাউনে কাপড়ের হাট বন্ধ থাকায় আবাসিক হোটেল ও বন্ধ হয়ে রয়েছে। এছাড়াও মিল্কভিটার প্রধান কারখানা শাহজাদপুরে অবস্থিত হওয়ার কারনে এ কারখানাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে উন্নত জাতের গরুর খামার। খামারীদের দ্বারা গঠিত সমবায়ের ভিত্তিতে পরিচালিত দুগ্ধ সেন্টারের মাধ্যমে মিল্কভিটা দুগ্ধ ক্রয় করে থাকে। শাহজাদপুরের এই উন্নত জাতের গাভীর ও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলার গরুর ফার্মের মালিকগন গাভী ক্রয় করতে শাহজাদপুরে এসে আবাসিক হোটেল অবস্থান করেন। লকডাউনের কারণে কোন ক্রেতা আসতে পারছেন না। বন্ধ রয়েছে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসা। শুধু ব্যবসার জন্যই নয় শাহজাদপুর উপজেলা পর্যটকদের কাছেও অত্যন্ত প্রসিদ্ধ জায়গা। কারণ শাহজাদপুরে রয়েছে হযরত মখদুম শাহ দৌলা (রহঃ) এর মাজার এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়ি। প্রতি বছর শত শত মানুষ আসেন মাজার জিয়ারত করতে ও বিশ্বকবির কাছারি বাড়ি দেখতে। পর্যটকরা আবাসিক হোটেলে অবস্থান করেন এবং ঘুরে বেড়ান। এতে ব্যবসা পেত আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ীরা। শাহজাদপুরের দ্বারিয়াপুর বাজারে অবস্থিত চৌধুরী রেসিডেন্স (আবাসিক হোটেল) এর মালিক ইকবাল হোসেন চৌধুরী মিঠু বলেন- ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর হতেই আবাসিক হোটেলে বোর্ডার আসা কমে গেছে আর ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল হতে টানা একমাসের লকডাউনে হোটেল ব্যবসা বন্ধই রয়েছে। সিরাজ আবাসিক হোটেল এর ম্যানেজার মোঃ কাবুল হোসেন জানান- লকডাউনে ব্যবসা বন্ধ। স্টাফ বেতন মালিকের কাছে থেকে নিয়ে দিতে পারলে ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। সরকার যদি আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ীদের প্রনোদনার ব্যবস্থা করত তাহলে খুব ভাল হত।

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুর সাংবাদিকতা ও সামাজিক উন্নয়ন ফোরাম থেকে ২ জনকে বহিস্কার

শাহজাদপুর সাংবাদিকতা ও সামাজিক উন্নয়ন ফোরাম থেকে ২ জনকে বহিস্কার

শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ শাহজাদপুর সাংবাদিকতা ও সামাজিক উন্নয়ন ফোরাম থেকে ২জনকে বহিস্কার করা...

শাহজাদপুর আইনজীবী সমিতির নব-নির্মিত ভবনের ছাদ ঢালাই কার্যক্রমের উদ্বোধন

শাহজাদপুর আইনজীবী সমিতির নব-নির্মিত ভবনের ছাদ ঢালাই কার্যক্রমের উদ্বোধন

শাহজাদপুর প্রতিনিধি: শাহজাদপুর চৌকি আদালতের আইনজীবী সমিতির নব-নির্মিত ভবনের ছাদ ঢালাই কর...

শাহজাদপুর সরকারি কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

শিক্ষাঙ্গন

শাহজাদপুর সরকারি কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে গত রোববার ঐতিহ্যবাহী শাহজাদ...

শাহজাদপুরে বেদেপল্লিতে মেরিনা জাহানের খাদ্য সামগ্রী  

রাজনীতি

শাহজাদপুরে বেদেপল্লিতে মেরিনা জাহানের খাদ্য সামগ্রী  

করোনায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ভাসমান বেদে সম্প্রদায়। সোমবার রাতে শাহজাদপুরে পোতাজিয়া ইউপির গঙ্গাপ্রসাদ গ্রামে...

সারাদিন ইয়ারফোনে গান শোনেন? অচিরেই সৃষ্টি হবে যেসব সমস্যা

জীবনজাপন

সারাদিন ইয়ারফোনে গান শোনেন? অচিরেই সৃষ্টি হবে যেসব সমস্যা

ইয়ারফোনে গান শোনার অভ্যাস কমবেশি সকলেরই আছে। তবে দীর্ঘক্ষণ এটি কানে লাগিয়ে গান বা কোনো মিউজিক শুনতে থাকলে দেখা দিতে পারে...