রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
500x350_6277a3ed72a5485b10e6d03688a3005c_230 ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু-ঝুঁকিতে মানবাধিকার কর্মী জাহিদুল হক জাবেদ। এই ভুল চিকিৎসায় দিন দিন মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মানবাধিকার কর্মী জাহিদুল হক জাবেদের অভিযোগ ক্যান্সারের রোগী হিসেবে পিত্তনালীতে ৬ সেন্টিমিটার একটি মেটাল স্ট্যান্ট তাকে পরিয়েছিলেন স্কয়ার হাসপাতালের লিভার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এম এস আরফিন। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ ও জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক এই চিকিৎসা ভুল ছিল বলে তাকে জানান। মানবাধিকার কর্মী জাহিদুল হক জাবেদের আরো অভিযোগ, তিনি পেটে তীব্র ব্যথা ও জন্ডিস নিয়ে ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসক এমএস আরফিন (লিভার বিশেষজ্ঞ) এর তত্ত্বাবধায়নে ভর্তি হন। ওই চিকিৎসক জাবেদকে ইআরসিপি করেন এবং তাকে বলেন, লিভার ও প্যানক্রিয়াসে টিউমার হয়েছে। যেটা ক্যান্সারের শেষ পর্যায়ে চলে গেছে। আয়ু মাত্র এক মাস আছে। চিকিৎসক আরফিন রোগী জাবেদকে পিত্তনালির মাঝামাঝিতে একটি ছয় সেন্টিমিটার মেটাল স্ট্যান্ট পরান এবং কেমো দেয়ার কথা বলেন। জাবেদ বলেন, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের নির্দেশে এক দিনের নোটিশে সিঙ্গাপুরের ভিসা পেয়ে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। এ ব্যাপারে চিকিৎসক আরফিন বলেন, সিঙ্গাপুরে নিয়ে কোন লাভ হবে না। কারণ রোগী মাত্র ১ মাস বাঁচতে পারে। জাবেদ আরো বলেন, ডাক্তারের নির্দেশ উপেক্ষা করে সিঙ্গাপুরের এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তির জন্য যাই। ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর ওখানকার চিকিৎসক চিউ সু পিং (গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল জেনারেল সার্জন) এর তত্ত্বাবধায়নে ভর্তি হই। দেশে চিকিৎসা শেষ করে চারবার সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে গিয়েও এ কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাননি। সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অশোক কুরুপ তার দেয়া রিপোর্টে বলেছেন, মেটাল স্ট্যান্ট বের করা অসম্ভব। সিঙ্গাপুরের এবং পৃথিবীর কোথাও পিত্তনালীতে স্থায়ী মেটাল স্ট্যান্ট পরানো হয় না। প্লাস্টিক স্ট্যান্ট পড়ানো হয়। ওপেন সার্জারি করে মেটাল স্ট্যান্ট বের করা যায় না। তবে, মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসক চিউ সু পিং (গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল জেনারেল সার্জন) বলেন, এই বয়সে প্যানক্রিয়াস ক্যান্সার হয় না। বায়োপসি ছাড়া বাংলাদেশের চিকিৎসক কিভাবে বলে ক্যান্সারের কথা? এখন ওপেনহার্ট সার্জারি করে মেটাল স্ট্যান্টটি বের করতে হবে। স্কয়ার হাসপাতাল ও মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকদের দেয়া রিপোর্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। জাবদে বলেন, স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. এমএস আরফিনের ভুল চিকিৎসায় মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে আমার এ পর্যন্ত ৭০ লাখ টাকা চিকিৎসার খরচ হয়েছে। আরো ৪০ লাখ টাকা লাগবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. এম এস আরফিন বলেন, একজন চিকিৎসক ভুল বলতেই পারেন। একজন চিকিৎসকের হাতে সবাই ভালো হবে, এটাও সঠিক নয়। তিনি জানান, ক্যান্সার হয়ে থাকলে কখনোই প্লাস্টিক স্ট্যান্ট পরানো হয় না। ঘটনাটি ৩ বছর পূর্বের হওয়ায় কাগজপত্র না দেখে সঠিকভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। একই সঙ্গে রোগী কতদিন বাঁচবে, এটা কখনো চিকিৎসক বলতে পারে না। ইচ্ছাকৃতভাবে কোন চিকিৎসক রোগীর ক্ষতি করেন না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুর আইনজীবী সমিতির নব-নির্মিত ভবনের ছাদ ঢালাই কার্যক্রমের উদ্বোধন

শাহজাদপুর আইনজীবী সমিতির নব-নির্মিত ভবনের ছাদ ঢালাই কার্যক্রমের উদ্বোধন

শাহজাদপুর প্রতিনিধি: শাহজাদপুর চৌকি আদালতের আইনজীবী সমিতির নব-নির্মিত ভবনের ছাদ ঢালাই কর...

সাংবাদিক চকর মালিথা পরিচয়ে চাঁদা আদায়, বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

সিরাজগঞ্জ জেলার সংবাদ

সাংবাদিক চকর মালিথা পরিচয়ে চাঁদা আদায়, বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ফোনে তিনি নিজেকে চ্যানেল আই এর সাংবাদিক চকর মালিথা বলে পরিচয় দিতে থাকেন। সে ইউএনওদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। টাক...

শাহজাদপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান

রাজনীতি

শাহজাদপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান

রায়গঞ্জে শিক্ষকের বাড়িতে পেট্রলবোমা হামলা

অপরাধ

রায়গঞ্জে শিক্ষকের বাড়িতে পেট্রলবোমা হামলা

রায়গঞ্জ প্রতিনিধি:  রায়গঞ্জ উপজেলার সিমলা গ্রামে সাবেক এক প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে পেট্রলবোমা হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।...