 
                            
                    
                    
                    
                                        
                     
                            
                    
                    
                    
                                        
                     শাহজাদপুর সংবাদ ডটকমঃ বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে ভারতীয় আমদানিকারকদের কোনো শুল্ক লাগে না। এর পরও পার্শ্ববর্তী এ দেশের বাজারে সুবিধা করতে পারছেন না রফতানিকারকরা। শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকলেও গত অর্থবছরে ভারত থেকে রফতানি আয় আগের অর্থবছরের তুলনায় কম হয়েছে। তবে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে অনেক। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি আরও বেড়েছে। গত অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৫৮ কোটি ডলার। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের তুলনায় বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা।
নয়াদিল্লিতে শনিবার বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে যেখানে অন্য বিষয়ের সঙ্গে রফতানি বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা দূর করার বিষয়টি আলোচনায় আসবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার এই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি গেছেন।বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি দেশওয়ারি আমদানির পরিসংখ্যান তৈরি করেছে। এতে দেখা যায়, চীনের পর ভারত থেকেই সবচয়ে বেশি পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৬০৩ কোটি ৪৮ লাখ ডলার মূল্যমানের পণ্য। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ সারাবিশ্ব থেকে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে, তার ছয় ভাগের এক ভাগ নিয়ে এসেছে ভারত থেকে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ভারত থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল ৪৭৪ কোটি ডলার। এ হিসেবে গত অর্থবছরে আমদানি বেড়েছে ১২৯ কোটি ডলার বা ২৭ শতাংশ। ভারত থেকে আমদানি পণ্যের তালিকায় রয়েছে তুলা, সুতা, যানবাহন, খাদ্যপণ্য, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি।
আমদানিতে এই উল্লম্ফন থাকলেও রফতানি না বেড়ে বরং কমে গেছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, গত অর্থবছরে ভারতে ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় হিসাব করলে যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে ( ২০১২-১৩) সেখান থেকে রফতানি আয় ছিল ৫৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। ফলে রফতানি আয় কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ।দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) আওতায় ভারত ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে স্পর্শকাতর পণ্য তালিকা ৪৮০টি থেকে কমিয়ে ২৫টিতে নামিয়ে আনে। এর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশকে ভারতের বাজারে শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা দেওয়া হয়। ভারতে রফতানি হওয়া পণ্য তালিকায় রয়েছে হিমায়িত খাদ্য, পাট, তৈরি পোশাক, চামড়া ইত্যাদি।
দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকনোমিক মডেলিং (সানেম), যার নির্বাহী পরিচালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান। সম্প্রতি তিনি এবং আরও দু'জন গবেষক মিলে এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অশুল্ক পদেক্ষেপগুলো কীভাবে বাণিজ্যের বাধা হিসেবে কাজ করছে। 'দক্ষিণ এশিয়ায় অশুল্ক পদক্ষেপসমূহ :পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন' নামে ওই গবেষণা প্রতিবেদন সম্প্রতি ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে মেট্রোপলিটন চেম্বার। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের এমন অনেক পণ্য আছে যেগুলোর সম্পূর্ণ রফতানি সক্ষমতা থাকতেও ভারতের বাজারে ঢুকতে পারছে না। এর কারণ নানা অশুল্ক পদক্ষেপ। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি আরও বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে ড. সেলিম রায়হান মিডিয়াকে বলেন, ভারতের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা সত্ত্বেও নানা অশুল্ক বাধা রফতানিকারকদের নিরুৎসাহিত করছে। যদি তৈরি পোশাকের কথা ধরা হয়, তাহলে ভারতের বাজারে সাধারণত ছোট ও মাঝারি রফতানিকারকরা পণ্য পাঠান। তাদের একজনের অভিজ্ঞতা অন্যের ওপর প্রভাব ফেলে। যেমন, লিলিপুট নামে এক ভারতীয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পাওনা নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তার সমাধান হয়নি। ভারতের বাজারে তৈরি পোশাকে কাউন্টারভেইলিং ডিউটি রয়েছে, যা অন্যতম বাধা বলে রফতানিকারকরা বলছেন। তৈরি পোশাকের বাইরে অন্য পণ্যের রফতানি কমে যাওয়ার পেছনে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি আরও কারণ থাকতে পারে।
ব্যবসায়ীদের মতে, বাংলাদেশি অনেক পণ্যের চালান সীমান্তে আটকে দেওয়া হয় পরীক্ষার জন্য। এই পরীক্ষায় অনেক সময় লাগে। কলকাতা বা দিলি্লতে পণ্যের নমুনা পাঠিয়ে পরীক্ষা করে আনা পর্যন্ত স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত গুদাম না থাকায় যথাযথভাবে পণ্য রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হয় না। ভারত পণ্যের মান নিয়ে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সনদ অনেক সময় গ্রহণ করে না। অবশ্য ভারতের পক্ষ থেকে প্রায়শই বলা হয়, বাংলাদেশি রফতানিকারকদের অনেকেরই ভারতের বাজার সম্পর্কে যথেষ্ট ভালো ধারণা নেই এবং এটিই রফতানি না বাড়ার প্রধান কারণ।
শাহজাদপুর সংবাদ ডটকমঃ বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে ভারতীয় আমদানিকারকদের কোনো শুল্ক লাগে না। এর পরও পার্শ্ববর্তী এ দেশের বাজারে সুবিধা করতে পারছেন না রফতানিকারকরা। শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকলেও গত অর্থবছরে ভারত থেকে রফতানি আয় আগের অর্থবছরের তুলনায় কম হয়েছে। তবে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে অনেক। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি আরও বেড়েছে। গত অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৫৮ কোটি ডলার। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের তুলনায় বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা।
নয়াদিল্লিতে শনিবার বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে যেখানে অন্য বিষয়ের সঙ্গে রফতানি বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা দূর করার বিষয়টি আলোচনায় আসবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার এই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি গেছেন।বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি দেশওয়ারি আমদানির পরিসংখ্যান তৈরি করেছে। এতে দেখা যায়, চীনের পর ভারত থেকেই সবচয়ে বেশি পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৬০৩ কোটি ৪৮ লাখ ডলার মূল্যমানের পণ্য। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ সারাবিশ্ব থেকে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে, তার ছয় ভাগের এক ভাগ নিয়ে এসেছে ভারত থেকে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ভারত থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল ৪৭৪ কোটি ডলার। এ হিসেবে গত অর্থবছরে আমদানি বেড়েছে ১২৯ কোটি ডলার বা ২৭ শতাংশ। ভারত থেকে আমদানি পণ্যের তালিকায় রয়েছে তুলা, সুতা, যানবাহন, খাদ্যপণ্য, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি।
আমদানিতে এই উল্লম্ফন থাকলেও রফতানি না বেড়ে বরং কমে গেছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, গত অর্থবছরে ভারতে ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় হিসাব করলে যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে ( ২০১২-১৩) সেখান থেকে রফতানি আয় ছিল ৫৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। ফলে রফতানি আয় কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ।দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) আওতায় ভারত ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে স্পর্শকাতর পণ্য তালিকা ৪৮০টি থেকে কমিয়ে ২৫টিতে নামিয়ে আনে। এর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশকে ভারতের বাজারে শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা দেওয়া হয়। ভারতে রফতানি হওয়া পণ্য তালিকায় রয়েছে হিমায়িত খাদ্য, পাট, তৈরি পোশাক, চামড়া ইত্যাদি।
দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকনোমিক মডেলিং (সানেম), যার নির্বাহী পরিচালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান। সম্প্রতি তিনি এবং আরও দু'জন গবেষক মিলে এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অশুল্ক পদেক্ষেপগুলো কীভাবে বাণিজ্যের বাধা হিসেবে কাজ করছে। 'দক্ষিণ এশিয়ায় অশুল্ক পদক্ষেপসমূহ :পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন' নামে ওই গবেষণা প্রতিবেদন সম্প্রতি ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে মেট্রোপলিটন চেম্বার। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের এমন অনেক পণ্য আছে যেগুলোর সম্পূর্ণ রফতানি সক্ষমতা থাকতেও ভারতের বাজারে ঢুকতে পারছে না। এর কারণ নানা অশুল্ক পদক্ষেপ। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি আরও বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে ড. সেলিম রায়হান মিডিয়াকে বলেন, ভারতের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা সত্ত্বেও নানা অশুল্ক বাধা রফতানিকারকদের নিরুৎসাহিত করছে। যদি তৈরি পোশাকের কথা ধরা হয়, তাহলে ভারতের বাজারে সাধারণত ছোট ও মাঝারি রফতানিকারকরা পণ্য পাঠান। তাদের একজনের অভিজ্ঞতা অন্যের ওপর প্রভাব ফেলে। যেমন, লিলিপুট নামে এক ভারতীয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পাওনা নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তার সমাধান হয়নি। ভারতের বাজারে তৈরি পোশাকে কাউন্টারভেইলিং ডিউটি রয়েছে, যা অন্যতম বাধা বলে রফতানিকারকরা বলছেন। তৈরি পোশাকের বাইরে অন্য পণ্যের রফতানি কমে যাওয়ার পেছনে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি আরও কারণ থাকতে পারে।
ব্যবসায়ীদের মতে, বাংলাদেশি অনেক পণ্যের চালান সীমান্তে আটকে দেওয়া হয় পরীক্ষার জন্য। এই পরীক্ষায় অনেক সময় লাগে। কলকাতা বা দিলি্লতে পণ্যের নমুনা পাঠিয়ে পরীক্ষা করে আনা পর্যন্ত স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত গুদাম না থাকায় যথাযথভাবে পণ্য রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হয় না। ভারত পণ্যের মান নিয়ে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সনদ অনেক সময় গ্রহণ করে না। অবশ্য ভারতের পক্ষ থেকে প্রায়শই বলা হয়, বাংলাদেশি রফতানিকারকদের অনেকেরই ভারতের বাজার সম্পর্কে যথেষ্ট ভালো ধারণা নেই এবং এটিই রফতানি না বাড়ার প্রধান কারণ।
                                        
                                        
                    সম্পর্কিত সংবাদ
 
                    শাহজাদপুর
শাহজাদপুরে ২ দিনে করোনায় আক্রান্ত ৪
নিজস্ব প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে গত ২ দিনে মোট ৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরা হলেন, পৌর এলাকার দ্বাবারিয়া...
 
                    অপরাধ
রাতের আধারে শাহজাদপুরে ঢুকছে বাইরের মানুষ
করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবে যখন গোটা দেশকে সরকার কর্তৃক ঝুকিপূর্ন ঘোষনা করা হয়েছে এবং সন্ধ্যা ৬ টার পরে লোক চলাচল সীমিত...
 
                    জাতীয়
করোনায় আক্রান্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, হাসপাতালে ভর্তি
বাংলাদেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার তাকে রাজধানীর সম্ম...
 
                    বিনোদন
চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে থানায় জিডি
‘পাসওয়ার্ড’ সিনেমায় জনপ্রিয় ‘পাগল মন মনরে মন কেন এত কথা বলে’ গানের অংশ অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করায় চিত্রনায়ক ও প্রযো...
                    
                 
                    খেলাধুলা
আইসোলেশনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের গানম্যান রেজাউল করীম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে মন্ত্র...
                    
                 
                    জাতীয়
অ্যাডমিরাল র্যাংক ব্যাজ পরানো হলো নৌবাহিনী প্রধানকে
ভাইস অ্যাডমিরাল থেকে পদোন্নতি পেয়ে অ্যাডমিরাল র্যাংক ব্যাজ পরানো হলো নৌবাহিনী প্রধান এম শাহীন ইকবালকে। বৃহস্পতিবার গণভব...

