ইসলামিক স্টেটের জিহাদিরা বাইজির নিকটের একটি রণাঙ্গন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইরাকি সেনাবাহিনীর একটি এমআই-৩৫এম অ্যাটাক হেলিকপ্টার ভূপাতিত করে। এতে দুজন ক্রু মারা যায়।
এ ঘটনা চলতি মাসের।
এর কয়েক দিন পরই আইএস জিহাদিরা উত্তর ইরাক দখলের জন্য হামলার একাধিক ভয়াবহ ভিডিও প্রকাশ করে।
এতে দেখা যায় চীনের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র কাঁধে একজন জিহাদি দেয়ালের পাশে লুকিয়ে আছে। টিউব থেকে এর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এরপর উপরের লক্ষ্যবস্তুতে এটি আঘাত হানে এবং দূরের গ্রামীণ সড়কে গিয়ে ধ্বংসাবশেষ পতিত হয়।
চলতি বছর ইরাকি সামরিক বাহিনীর যে বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার জিহাদিরা ভূপাতিত করেছে তার একটি ছিল ওই হেলিকপ্টারটি।
জোরালো প্রমাণ মিলছে যে আইএস জঙ্গিরা ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে। এতে ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনীর বিমান ভয়াবহ হুমকির মুখে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, ইরাকে আইএসের লক্ষ্যবস্তুতে বহুজাতিক বাহিনীর বেপরোয়া বিমান হামলার প্রেক্ষিতে প্রমাণ পাওয়া যাবে যে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর বিমান বিধ্বংসী ক্ষমতা কতটা আছে।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের একজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা গোয়েন্দা বিশ্লেষণের বরাত দিয়ে বলেন, ‘অতীতের সংঘাতের ওপর ভিত্তি করে বলা যায় যে এসব ক্ষেপণাস্ত্র সেখানে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।’
জিহাদিদের হাতে বিমান বিধ্বংসী এসব অস্ত্রশস্ত্রের মজুত ইরাকের বিমানবন্দরগুলোর, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক যোগাযোগে দেশটির প্রধান মাধ্যম বাগদাদ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কাকে আরো জোরালো করেছে।
ইরাকে সামরিক সরবরাহ ও সৈন্য মোতায়েনের প্রধান মাধ্যমে বাগদাদ বিমানবন্দর।
আকাশে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইএস সম্প্রতি একটি অনলাইন গাইড প্রকাশ করেছে যেখানে কাঁধ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে কিভাবে অ্যাপাচে হেলিকপ্টার ভূপাতিত করা যায় সে বিষয়ে বর্ণনা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথাগত সমরাস্ত্রের ভাণ্ডারে অ্যাপাচে হেলিকপ্টারকে সবচেয়ে ভয়াবহ মনে করা হয়।
আরবি ভাষায় প্রকাশিত ওই গাইডে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বিমান ধ্বংসের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে বলা হয়েছে ‘আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ও ধৈর্য্য’ থাকলে এ নিয়মে ‘শত্রুর বিপর্যয় ঘটানো এবং তাদের ঔদ্ধত্যকে খতম করে দেয়া’ সম্ভব হবে।
যুক্তরাষ্ট্র বাগদাদ বিমানবন্দরে অর্ধডজন অ্যাপাচে হেলিকপ্টার মোতায়েন রেখেছে যদিও ২ মাস ২১ দিনের আইএস বিরোধী লড়াইয়ে এখনও সেগুলোর ব্যবহার সীমিত।
এর অন্যতম কারণ ভূমি থেকে গুলিতে এগুলোর ভূপাতিত হওয়ার আশঙ্কা এবং ভূপাতিত হলে ভূপাতিত বিমানের ক্রুদের উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ধারকর্মীদের অপ্রতুলতা।
চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর সহাতায় প্রথম বারের মত অ্যাপাচে ব্যবহৃত হয়েছে ফালুজায়। আনবার প্রদেশের মরুবেষ্টিত এই এলাকায় সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলো ইরাকি বাহিনীর বিরুদ্ধে জয় পাচ্ছে আইএস যোদ্ধারা।
কাঁধ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণান্ত্র বা ম্যানপ্যাডের ( ম্যান পোর্টেবল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমস) হুমকির কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাকের কর্মকর্তারা বিমানের ক্রুদের, বিশেষ করে বেসামরিক বিমানের ক্রুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা ২০১২ সাল থেকে এ ধরনের ম্যানপ্যাড ব্যবহার করে আসছে।
সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের ব্যবহৃত এসব ক্ষেপণাস্ত্র করায়ত্ব করা আইএসের জন্য কঠিন কিছু নয়।
পেন্টাগনের সেন্ট্রাল কমান্ড এই উদ্বেগের কথা স্বীকার করেছে। তবে তাদের ভাষ্য – ইসলামিক স্টেটের হাতে এ ধরনের ক্ষেপনাস্ত্র থাকার নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
                                        
                                        
                    সম্পর্কিত সংবাদ
                    ৩’শ ৬০ জন দুগ্ধদাই মাতাকে ভাতা কার্ড প্রদান
শাহজাদপুর প্রতিনিধি: গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিলের আওতায় শাহজাদপুর পৌরসভা কর্তৃক বাছাইকৃত উপক...
                    আইন-আদালত
৪২ দিন পর সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলার চার্জশীট আমলে নিলেন আদালত
শামছুর রহমান শিশির, শাহজাদপুর থেকে : আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সংঘটিত দেশ-বিদেশে বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর দৈনিক...
                    রাজনীতি
সিরাজগঞ্জে পৌর নির্বাচনে বিএনপি’র ৬ প্রার্থী চূড়ান্ত
অনলাইন ডেস্কঃ সিরাজগঞ্জের ছয়টি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন...
