মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

করোনার কাছে হার মেনে চলে গেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কিংবদন্তি গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দেশবরেণ্য এই সংগীতশিল্পী।

এই কিংবদন্তির জানাযা ও দাফন কোথায় হবে তা নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব। তিনি জানান, শনিবার (২৪ জুলাই) বেলা ১১টায় পল্লীমা সংসদে ফকির আলমগীরের প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দুপুর ১২টায় ফকির আলমগীরের মরদেহ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এরপর বাদ যোহর রাজধানীর খিলগাঁও মাটির মসজিদে হবে শেষ জানাযা। তারপর তাকে তালতলা কবরস্থানে দাফন করা হবে।

গত ১৪ জুলাই ফকির আলমগীরের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। এর একদিন পর ১৫ জুলাই জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। করোনায় তার ফুসফুস ৬০ শতাংশ সংক্রমিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন ফকির আলমগীর। এর আগে, ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে অসামান্য অবদান রাখেন তিনি। স্বাধীনতার পর পপ ঘরানার গানে যুক্ত হন ফকির আলমগীর। সংগীতে অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে তিনি একুশে পদকে সম্মানিত হন।

ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মো. হাচেন উদ্দিন ফকির, মা বেগম হাবিবুন্নেছা। ফকির আলমগীর কালামৃধা গোবিন্দ হাই স্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন।

জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ পাস করেন। ১৯৬৬ সালে ছাত্র ইউনিয়ন মেনন গ্রুপের সদস্য হিসেবে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সঙ্গীত বলয়ে প্রবেশ করেন। ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে শিল্পী একজন শব্দ সৈনিক হিসেবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন। অবশ্য এর আগে ষাটের দশক থেকেই গণসংগীত গেয়ে আসছিলেন তিনি। ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে অসামান্য ভূমিকা রাখেন ফকির আলমগীর।

সম্পর্কিত সংবাদ

৩’শ ৬০ জন দুগ্ধদাই মাতাকে ভাতা কার্ড প্রদান

৩’শ ৬০ জন দুগ্ধদাই মাতাকে ভাতা কার্ড প্রদান

শাহজাদপুর  প্রতিনিধি: গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিলের আওতায় শাহজাদপুর পৌরসভা কর্তৃক বাছাইকৃত উপক...

৪২ দিন পর সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলার চার্জশীট আমলে নিলেন আদালত

আইন-আদালত

৪২ দিন পর সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলার চার্জশীট আমলে নিলেন আদালত

শামছুর রহমান শিশির, শাহজাদপুর থেকে : আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সংঘটিত দেশ-বিদেশে বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর দৈনিক...

সিরাজগঞ্জে পৌর নির্বাচনে বিএনপি’র ৬ প্রার্থী চূড়ান্ত

রাজনীতি

সিরাজগঞ্জে পৌর নির্বাচনে বিএনপি’র ৬ প্রার্থী চূড়ান্ত

অনলাইন ডেস্কঃ সিরাজগঞ্জের ছয়টি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন...

৪ ফেব্রুয়ারী সালমান, সানি লিওন আসছেন ঢাকায়